কুমিল্লায় ডাকাতির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে একজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের হোরন মিয়ার চায়ের দোকানে ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা জেলার এসপি আবদুল মান্নান রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের মো. নাজিম উদ্দীন ও রুমন ব্যাপারী ওরফে সুমন।
প্রাণ হারানো মোস্তফা কামাল তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এসপি আবদুল মান্নান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার মোস্তফা কামাল ও আসামি সাইদুল, নাজিম উদ্দিন ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকা-পয়সা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সঙ্গে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীনের কথা কাটা-কাটি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়।
‘এর পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীন ভিকটিম মোস্তফা কামালের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামে একটি চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলছিল তারা। ওই সময় আসামি সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় ও কপালে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।’
এসপি জানান, এ ঘটনার পর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে বাদী হয়ে রুজিনা আক্তার তিতাস থানার মামলা দায়ের করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. নাজিম উদ্দীনকে ও পরে রুমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি উক্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের মামলা আছে। নিহত মোস্তফা কামালের নামে সাতটি চুরি-ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের মোট ছয়টি মামলা আছে।’