কৃষি

সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় গ্রামাঞ্চলে

pickynews24

ঋতুর পালাক্রমে বাংলায় এখন শীতকাল। কাক ডাকা ভোরে বের হলেই চারদিকে কুয়াশার হাতছানি। শীতের আমেজের সাথে শোভা পাচ্ছে হলুদের হাসি। বলছিলাম সরিষা ফুলের কথা। আর সেই ফুলের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছির দল, সংগ্রহ করছে মধু। সে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য।

দিগন্তজোড়া হলুদ রঙের সেই সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় গ্রামাঞ্চলে। অপরূপ সৌন্দর্যের গ্রামে হলুদের মুগ্ধতা প্রতিনিয়ত। সরিষার রূপে মুগ্ধ হচ্ছে মৌমাছি কিংবা প্রজাপতি।মৌমাছি আর রং-বেরঙের প্রজাপতিতে ভরে আছে সরিষার মাঠ। সেখানে দেখা মেলে প্রজাপতির বিশ্রাম নেওয়ার মুহূর্ত কিংবা পরিশ্রমী মৌমাছির মধু আহরণের দৃশ্য।

প্রতি বছর শীতের মৌসুমে সরিষার মধু সংগ্রহ করতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন মৌচাষিরা। জমির মালিক কিংবা শস্য মালিকের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর পান মধু সংগ্রহের অনুমতি। তাই সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ ব্যাপক লাভজনক।

কৃষক ও মধু চাষি উভয়ই লাভের মুখ দেখেন। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করায় ব্যাপক পরাগায়নে বাড়তি ফলন পান কৃষক; মৌচাষিরা পান মধু। তাই অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ঝুঁকছেন এ ব্যবসায়।

সাধারণত মৌচাষিরা সরিষা ক্ষেতের এক প্রান্তে চাকে ভরা বাক্স রেখে দেন। একেকটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম থাকে। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। প্রতি বাক্সে একটি রানি মৌমাছি রাখা হয়। রানি মৌমাছির টানেই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে বাধ্য হয়। চাকের বাক্সের মাঝে একটি ছিদ্র থাকে। সেই ছিদ্র দিয়ে মৌমাছি যাতায়াত করতে থাকে।

ছয় থেকে সাত দিনের মাথায় বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারপর বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করে নেওয়া হয়।

Related posts

কুষ্টিয়ায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পোকার আক্রমণের পরও

Rubaiya Tasnim

সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির বিচরণ থাকলে সরিষার ফলন বেশি হয়

Asma Akter

কালো আখ চাষ করে বাজিমাৎ,ফরিদপুরে

Asma Akter

Leave a Comment