নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনই আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের ঘুম ভাঙল একাধিক বিস্ফোরণের শব্দে। মঙ্গলবার, স্থানীয় সময় ভোর ৬টা নাগাদ নিউ ইয়র্কের রুজভেল্ট দ্বীপে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকট শব্দে থর থর করে কেঁপে ওঠে ওই এলাকার মাটিও। আর এরপরই রুজভেল্ট দ্বীপে কাজে নেমে পড়েছে নিউ ইয়র্ক সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও। দমকল বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি ফোনকল এসেছিল। আতঙ্কিত মানুষ, জানান সম্ভবত ওই এলাকায় কোনও বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাঁরা শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে অবস্থিত ভবনগুলি কেঁপে ওঠে। তবে, কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুজভেল্ট আইল্যান্ডর ব্রিজ অ্যান্ড ট্রামের দক্ষিণে, ৫৮০ মেইন স্ট্রিটে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপরই নিউ ইয়র্ক দমকল বিভাগ ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। তবে, দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থার প্রকৃতি এখনও অস্পষ্ট। কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকায় ম্যানহোল থেকে আগুন বের হতে দেখা গিয়েছে। কাজেই বিস্ফোরণটি মাটির নীচে থাকা নর্দমায় হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই এলাকার ভবনগুলির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নিউ ইয়র্ক সিটির সরকারি জরুরী বিজ্ঞপ্তি ব্যবস্থা থেকে, রুজভেল্ট দ্বীপের কাছে ট্র্যাফিক এবং গণ ট্রানজিট ব্যবস্থাগুলিতে এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে, এই বিষয়ে কোনও বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
নিউ ইয়র্ক দমকল বিভাগ জানিয়েছে, দমকল কর্মীরা বিস্ফোরণের উৎসের খোঁজ করছেন। দমকল বিভাগ আরও জানিয়েছে, কীসের থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং কেন ওইভাবে মাটি কেঁপে উঠেছে, তা তারা এখনও বুঝতে পারছে না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকটি বহুতলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে বলেও জানা গিয়েছে।এই বিষয়ে তদন্তের জন্য, নিউ ইয়র্ক সিটির বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ‘কন এডিসনে’র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে দমকল বিভাগ। বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, এই ঘটনা কোনও বিস্ফোরণ না হয়ে ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্পের জন্যই হয়তো, মাটির নীচে কোনও বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিউ ইয়র্ক পুলিশের পক্ষ থেকে নাশকতার দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।