লাইফ স্টাইলস্বাস্থ্য

কলার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে

pickynews24

এমন অনেকেই আছেন যাদের সকালের নাস্তায় আর যা-ই থাকুক না কেন, কলা থাকা ‘মাস্ট’। বিশেষ করে শীতকালে। কলা অনেক উপকারের। প্রথমত, অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে কলা। দ্বিতীয়ত, শীতে পানি কম খাওয়া হয় বলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় অনেকের। তা নিরাময় করে কলা। তৃতীয়ত, কলার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ এই ফল শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

একনজরে দেখে নেয়া যাক কলার গুণাগুণ :

১) কলা ফাইবারে ভরপুর। ফলে তা হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে। অন্ত্রে থাকা ‘ভালো’ ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।

২) পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের যুগলবন্দি অস্টিয়োপোরোসিস-এর মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখে। হাড়ের জোর বাড়িয়ে তোলে। অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় রাখতেও সাহায্য করে কলা।

৩) খুব ক্লান্ত লাগলে তৎক্ষণাৎ ‘এর্নাজি ড্রিঙ্ক’ না খেয়ে কলা খেতে পারেন। কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ শরীরে পুষ্টি জোগায়। শীতের ধূসর বিকেল যদি অবসাদ ডেকে আনে, তৎক্ষণাৎ একটি কলা খেয়ে ফেলতে পারেন।

তবে অনেকেই মনে করেন, ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে নাকি কলা খাওয়া যায় না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নানা রকম ফলের মধ্যে কলা ‘ঠান্ডা’ জাতের। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে এই ফল। তাছাড়া যাদের সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা, সাইনাস, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে, সূর্য ডোবার পর তাদের কলা না খাওয়াই উচিত।

Related posts

কাজ করতে করতে ঘুমে জড়িয়ে আসছে চোখ?

Mehedi Hasan

কিডনি সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন?

Asma Akter

স্কুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে খুদে চিকিৎসকেরা, শুরু হবে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে

Rubaiya Tasnim

Leave a Comment