ইসলাম ধর্মসর্বশেষ

শিশুর আকিকার দেওয়ার বিধান

pickynews24

আকিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, সব শিশু তার আকিকার সাথে দায়বদ্ধ অবস্থায় থাকে। জনুগ্রহণ করার সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে জবাই করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করে দিতে হবে। (সুনানে তিরমিজি: ১৫২২) রাসুল (সা.) একটি ছাগল জবাই করে তার নাতি হাসানের (রা.) আকিকা করেছিলেন। (সুনানে তিরমিজি: ১৬০২)

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) পুত্র সন্তানের জন্য দুটি ও কন্য সন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুনানে তিরমিজি) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইহুদিরা পুত্রসন্তানের আকিকা করত কিন্তু কন্যাসন্তানের আকিকা করত না। তোমরা পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যাসন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে হলেও আকিকা করো। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি: ১৯৭৬০)

শিশুর আকিকা করা মূলত তার বাবার দায়িত্ব, নানার নয়। কারণ সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব যার ওপর শরীয়ত তাকেই আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বাবার অনুমতি নিয়ে নানা নাতির আকিকা করলে তা শুদ্ধ হবে। হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসান-হুসাইনের আকিকা করেছিলেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৮৩৪)

শিশুর নানা তার নিজের বাড়িতে আকিকা করতে পারেন। আকিকার পুরো গোশত তার নিজের পরিবারের জন্য রাখলে বা দান করে দিলেও আকিকা আদায় হয়ে যাবে। তবে উত্তম হলো তিন ভাগ করে একভাগ নিজেদের জন্য রাখা, একভাগ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া এবং একভাগ দরিদ্রদের দেওয়া। আত্মীয়দের অংশ থেকে শিশুর বাবার বাড়িতে একটা অংশ পাঠানো যেতে পারে।

 

Related posts

রাসুল (সা.) সুস্থতাকে ইমানের পর সবচেয়ে বড় নেয়ামত বলেছেন

Asma Akter

বিপদে পড়লে সবার আগে শাহরুখই এগিয়ে আসবে : দীপিকা

Rubaiya Tasnim

টাকা দিলেই পাবেন সার্টিফিকেট : প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি

Megh Bristy

Leave a Comment