আমাদের দেশে অনেক অঞ্চলে কেউ মারা গেলে তার জন্য সবাই মিলে এক লাখবার কালিমায়ে তায়্যিবা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর-রাসুলুল্লাহ’ পড়া হয় এই বিশ্বাস থেকে যে এ আমলের বরকতে মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ হয়ে যাবে।
এ রকম কোনো আমল নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বা তার সাহাবিদের থেকে পাওয়া যায় না। এ আমলের ফলে মৃত ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যাবে এ রকম বিশ্বাসেরও কোনো ভিত্তি নেই।
এটা ঠিক যে, কালিমা তায়্যিবার ফজিলত, মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত বিভিন্ন হাদিসে কালিমায়ে তায়্যিবার বিভিন্ন ফজিলত ও সওয়াবের কথা এসেছে। ইখলাসের সাথে এ কালেমা পাঠকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে। মিজানের পাল্লায় এ কালেমার ওজন হবে সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু কোনো গ্রহণযোগ্য দলিল ছাড়া আমলের নির্দিষ্ট কোনো ধরন বানানো ও এর বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করা বা বিশ্বাস করা ঠিক নয়। মৃত ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার পর তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করা উচিত, দান-সদকা, কোরআন তেলাওয়াত, কালেমা তায়্যিবার জিকির বা অন্যান্য আমল করে তার জন্য সওয়াব পাঠানো উচিত যেভাবে ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে।