ইসলাম ধর্মসর্বশেষ

আল্লাহ নারীদের পুরুষের বেশ ধারণকারিণীদের অভিশাপ দিয়েছেন

pickynews24

 

আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে লিঙ্গ ও স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তা বজায় রাখাই আল্লাহর বিধান। পুরুষ হয়ে নারীর বেশ ধারণ করা, নারীর মতো কথা বলা, ওঠাবসা, চলাফেরায় মেয়েদের ভঙ্গি নকল করা গুরুতর গুনাহ। একইভাবে নারী হয়ে কথাবার্তা, ওঠাবসা, চলাফেরায় পুরুষের নকল করাও গুরুতর গুনাহের কাজ।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুরুষদের মধ্যে নারীর বেশ ধারণকারীদের ও নারীদের মধ্যে পুরুষের বেশ ধারণকারিণীদের অভিশাপ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি)

পুরুষ হয়ে নারীর বা নারী হয়ে পুরুষের পোশাক পরিধান করা, নারীদের মতো সাজগোজ করা, মেকআপ সেওয়া ও অলংকার পরিধান করাও নাজায়েজ। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুলের আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লানত করেছেন ওই পুরুষের ওপর যে নারীর সাজ-পোশাক পরিধান করে এবং ওই নারীর ওপর, যে পুরুষের সাজ-পোশাক পরিধান করে। (সুনানে আবু দাউদ)

আরও কিছু হাদিসে এ রকম বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে। এসব হাদিস থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় সৃষ্টিগতভাবে পুরুষ হয়ে নারী হওয়ার চেষ্টা বা নারী হয়ে পুরুষ হওয়ার চেষ্টা ইসলামের দৃষ্টিতে কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে জন্মগতভাবে যেসব মানুষের শারীরিক অপূর্ণতা বা উভয় লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তারা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারে।

Related posts

দাম বাড়ল খেজুরসহ বিদেশি ফলের

Megh Bristy

HONOR 90 লঞ্চ হল বাংলাদেশে

Samar Khan

আমি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি: দেব

Megh Bristy

Leave a Comment