গত শুক্রবার (৮ মার্চ), ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের ফলে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জানুনের সূত্রের মতে, ত্রাণ ফেলা হয়েছিল আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে।
ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিক খাদের আল জানুন এই তথ্যটি জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর মাধ্যমে। তিনি জানিয়েছেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হয়েছে, কিন্তু কোন দেশের বিমান ছিল তা নিশ্চিত করা হয়নি।
আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-শেখ পাঁচজনের মৃত্যু সত্যান্বেষী করেছেন এবং আহতদের কিছুকে গুরুতর অবস্থায় আল-শিফা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ইসরায়েলের দখলের কারণে গাজা বাসীদের অধিকাংশ অনাহারে ভোগছে এবং গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ থেকে বিমানে ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনার পর, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র বিমান থেকে ৩৮ হাজার প্যাকেট খাদ্য ত্রাণ গাজায় পৌঁছানো হয়। জর্ডান ও অন্যান্য দেশগুলো এই প্রচেষ্টার সাথে সহযোগিতা করেছে।
তবে গাজার দাতব্য সংস্থাগুলো জানিয়েছিল, যে পরিমাণ মানুষ অনাহারে রয়েছে সেটির তুলনায় এই ত্রাণ কিছুই না।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের পরিচালক রিচার্ড গোয়ান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সাহায্যকারী সংস্থার কর্মীরা সবসময় অভিযোগ করে থাকেন বিমানের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলা ছবি তোলার জন্য খুবই ভালো সুযোগ। কিন্তু এই পন্থায় ত্রাণ পাঠানো খুবই খারাপ।”
দখলদার ইসরায়েল গত ছয় মাস ধরে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে উদ্ধাস্তু হয়ে পড়েছেন। কাজকর্ম না থাকায় তারা খাবারের সংকটেও পড়েছেন।