লাইফ স্টাইলশিক্ষাসর্বশেষসারাদেশস্বাস্থ্য

বসা বা শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা?কিন্তু কেন?

বসা বা শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা?কিন্তু কেন?

বসা বা শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা?কিন্তু কেন?

পোশ্চারাল হাইপোটেনশান:

বসা বা শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে বা পজিশন পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য মাথা ঘুরে ওঠা বা চেতনা লুপ্ত হওয়ার কারণ অনেক সময় রক্তচাপের আকস্মিক পরিবর্তন, যাকে পোশ্চারাল হাইপোটেনশান বলে।

রোগের কারণ:

বসা বা শোয়া অবস্থা থেকে দাঁড়াতে গেলে রক্তচাপ ২০ মিমি কমে যায়, যে কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন হঠাৎ কমে যায়।
যদি পজিশন পরিবর্তনের পর রক্তচাপ সিস্টোলিকভাবে ২০ মিমি বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণে হ্রাস পায় এবং ডায়াস্টোলিকভাবে ১০ মিমি কমে যায়, তখন বুঝতে হবে এটি পোশ্চারাল হাইপোটেনশান।

রোগ শনাক্ত করার উপায়:

যদি পজিশন পরিবর্তনের পর রক্তচাপ সিস্টোলিকভাবে ২০ মিমি বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণে হ্রাস পায় এবং ডায়াস্টোলিকভাবে ১০ মিমি কমে যায়, তখন বুঝতে হবে এটি পোশ্চারাল হাইপোটেনশান।

কারা বেশি ঝুঁকিতে?:

যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সাথে ডাই-ইউরেটিকস ওষুধ খান, যাঁদের ডায়বেটিস দীর্ঘদিনের, ধূমপায়ী, হার্টের রোগী, কিডনি রোগী, শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, কোনো অসুখ বা সার্জারির পর দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে আছেন ইত্যাদি। এ ছাড়া স্পাইনাল কর্ড ইঞ্জুরি, বিশেষ করে চার হাত–পা অবশ রোগীদের প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় ৪২ দিন স্ট্রাইকার ফ্রেমে থাকতে হয়, তখন রিহ্যাব পর্যায়ের শুরুতে রোগীরা ভীষণ রকমের পোশ্চারাল হাইপোটেনশানে ভোগেন। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় এক ধরনের পজিশনিং ৩০ ডিগ্রি রেঞ্জে শোয়ানো ও ধীরে ধীরে ৬০ ডিগ্রি পজিশনিং করে ও পরবর্তী সময়ে সোজা হয়ে বসানোর চর্চা করানো হয়

সমাধান:

অনেক ক্ষেত্রে যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তাঁরা হঠাৎ করে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে কোনো সমতল ভূমিতে কিছুক্ষণ শুইয়ে রাখতে হবে, যাতে রক্ত সরবরাহ পুনরায় স্বাভাবিক হয়। এর জন্য দুই পা সমতল ভূমির চাইতে খানিকটা ওপরে রাখতে হয়, যাতে তা হার্টের লেভেলের ওপরে থাকে এবং শরীরের রক্ত মস্তিষ্কের দিকে ধাবিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং এবং মাংসপেশির ফ্লেক্সিবিলিটি এক্সারসাইজের ফলে মাথা ঘোরানো ব্যক্তিদের রক্ত চলাচলের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে এই রোগের পুনরাবৃত্তি কমাতে পারেন।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকেরা এ ধরনের সমস্যায় যেসব চিকিৎসার পরিকল্পনা করে থাকেন, তার মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রেসিভ স্ট্রেচিং, সেলফ স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ, মাসল স্ট্রেন্দেনিং যেমন, আইসোমেট্রিক, গ্রেডেড ওয়েট প্রোগ্রেসন, ওপেন এবং ক্লোজ চেইন এক্সারসাইজ, এরোবিক এক্টিভিটি যেমন হাঁটাহাঁটি, জগিং। পড়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে এবং স্ট্যাবিলিটি বাড়াতে ব্যালেন্স প্র্যাকটিস।

Related posts

দারাজে পাওয়া যাচ্ছে ১০,৪৯৯ টাকায় নতুন স্মার্টফোন

Rubaiya Tasnim

১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

Megh Bristy

নতুন রূপে আসছে বিলাসবহুল গাড়ি মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলএস

Suborna Islam

Leave a Comment