বাংলাদেশেবিশ্ব

কভার জাতীয় বাংলাদেশ বিশ্ব সব খবর বাংলাদেশের উন্নয়ন সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল: প্রধানমন্ত্রী

 

বিএনএ: বাংলাদেশের উন্নয়ন গত ১৪ বছরে সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল উল্লেখ  করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব অবশ্যই অর্থবহ হতে হবে। যাতে কোনও চ্যালেঞ্জ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনে এসব দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করতে না পারে।

রোববার (৫ মার্চ) ‘সাসটেইনেবল এন্ড স্মুথ ট্রান্সলেশন ফর দ্য গ্র্যাজুয়েটিং কোহোর্ট অব ২০২১’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা, এলডিসি গ্রাজুয়ে দেশগুলো, নিশ্চিত করতে চাই যে, কোনও চ্যালেঞ্জ যেন আমাদের গ্রাজুয়েটিং-এর গতিকে আরও কমিয়ে দিতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতার মাধ্যমে এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) লাও পিডিআর এবং নেপালের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের (এলডিসি ৫: সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) এর পাশে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ত্বরান্বিতকরণ, মানব পুঁজির উন্নয়ন, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বিনিয়োগ, ইউটিলিটি সেবা ডিজিটালাইজ করা এবং আমাদের প্রবৃদ্ধির লভ্যাংশের জন্য ইক্যুইটি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছি।

বলেন, আমাদের সাফল্যের জন্য একটি অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের কোন বিকল্প নেই। এই প্রসঙ্গে তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেন। বলেন, প্রথমত, জরুরি আন্তর্জাতিক সহায়তার ব্যবস্থার জন্য এলডিসি গ্রুপগুলোর জমা দেয়া আবেদন ডব্লিউটিও সদস্যদের যথাযথ বিবেচনা করা উচিত।

দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আরও বেশি এফডিআই এবং উপযুক্ত প্রযুক্তি নিয়ে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট করায় এগিয়ে আসতে হবে। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ করে ঋণের ব্যয় বৃদ্ধি এড়াতে উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থার ধারণা রূপান্তরে সাহায্য করতে পারে।

চতুর্থ অগ্রাধিকার হিসেবে, এলডিসি সমন্বিত গ্র্যাজুয়েট করার জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে নমনীয় শর্তে উপলব্ধি করা দরকার এবং সবশেষ অভিবাসন ও রেমিট্যান্স খরচ কমাতে গন্তব্য দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির আকার এখন ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, অথচ ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে এর আকার ছিল কেবলমাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন ৩৫তম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, কেবল এক দশকেই দারিদ্র্যের হার ৩১. ৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশ। শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে কমে ২১ এ দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে এবং শিক্ষার হার দাঁড়িয়েছে ৭৫.২ শতাংশে।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার দরিদ্র, অনগ্রসর ও প্রান্তিক লোকদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে এসেছে। ১০.৭ মিলিয়ন দুস্থ মানুষ এখন এ সব কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করছে। বলেন, সরকার এমডিজির সঙ্গে মিল রেখে সহ্রসাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা তৃণমূল পর্যাযের ষ্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এসডিজির স্থানীয়করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের ওপরও জোর দিচ্ছে এবং গত বছর সরকার তার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করে তা জনগণের জন্য খুলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের জাতিকে উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো স্বল্প-মেয়াদী লক্ষ্য হল-এলডিসি উত্তরণ ও এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া।

অনুষ্ঠানে নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ ও লাও পিডিআর-এর উপ-প্রধানমন্ত্রী সালেমক্সে কোমাসিথ বক্তব্য রাখেন।

Related posts

স্ত্রীর মৃত্যুর ১ দিন পর মারা গেলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান

Asma Akter

সৌদি মালিক বাংলাদেশি কর্মচারীর বাড়িতে বেড়াতে এসে অভিভূত

Asma Akter

অনার্স পাসে চাকরি দেবে, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, কর্মস্থল ঢাকা।

Asma Akter

Leave a Comment