অর্থনীতি

বেতন-বোনাস হয়নি ৯ হাজারের বেশি কারখানায়, ঈদের বাকি ৮ দিন

কোরবানি ঈদের আর মাত্র বাকি ৮দিন। কিন্তু এখনো মে মাসের বেতন হয়নি ১ হাজার ৮৫টি কল-কারখানার শ্রমিকদের। আর মন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও জুন মাসের প্রথম ১৫দিনের বেতন এবং ঈদ বোনাস দেওয়া হয়নি ৯ হাজারের অধিক কারখানায়।

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, বেপজা,পাটকল এবং শিল্পাঞ্চল পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ৯ হাজার ৯১৫টি কল-কারখানার মধ্যে চলতি বছরের মে মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮৩০টি কল-কারখানায়। যা শতাংশের হিসেবে ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১ হাজার ৮৫টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। যা শতাংশের হিসেবে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

মে মাসের বেতন

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৬২৪ কারখানার মধ্যে মে মাসের বেতন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৪টি কারখানায়। অর্থাৎ ১৪০টি কারখানায় এখনো মে মাসের বেতন হয়নি।

নিটওয়ার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত ৬৯৯টি কারখানার মধ্যে ৬১১ কারখানার বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ৪১টির বেতন পরিশোধ করা হয়নি। বিটিএমইএর ৩৫৯টি কারখানার মধ্যে ৩১৮ কারখানার বেতন পরিশোধ করা হয়েছে, বাকি আছে ৪১টির। বেপজার ৩৯২টির মধ্যে ৩৮৫ কারখানার বেতন পরিশোধ করা হয়েছে, বাকি আছে ৭টির।

তবে পাটকল ৯০টিরই বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাতের ৬ হাজার ৭৫১টি কারখানার মধ্যে ৫ হাজার ৯৪২টির বেতন দেওয়া হয়েছে, আর পরিশোধ করা হয়নি ৮০৯টির। অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৮৫টি কারখানায় বেতন হয়নি। যা শতাংশের হিসেবে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ।

জুনের প্রথম ১৫ দিনের বেতন

এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জুন মাসের প্রথম ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে ৫৫টি কারখানা। অর্থাৎ জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন পাননি ৯ হাজার ৮৬০টি কারখানার শ্রমিকরা।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৬২৪ কারখানার মধ্যে জুন মাসের বেতন হয়েছে ১টি কারখানায়। অর্থাৎ ১ হাজার ৬২৩টি কারখানায় এখনো মে মাসের বেতন হয়নি।

নিটওয়ার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত ৬৯৯টি, বিটিএমইএর ৩৫৯টি এবং বেপজার ৩৯২টি কারখানার একটিতেও শ্রমিকদের জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়া হয়নি।

তবে ৯০টি পাটকলের মধ্যে ১১টি পাটকলের শ্রমিকদের জুনে বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাতের ৬ হাজার ৭৫১টি কারখানার মধ্যে ৪৩টির বেতন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৯ হাজার ৯১৫টি কারখানার মধ্যে মোট ৫৫টি কারখানায় বেতন হয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে দশমিক ৫৫ শতাংশ।

ঈদ বোনাস

৯ হাজার ৯১৫টি কারখানার মধ্যে ৫৯৭টি কারখানায় ঈদ উল-আজহার বোনাস দেওয়া হয়েছে। এখনো ৯ হাজার ৩১৮টি কারখানার শ্রমিকরা বোনাসের অপেক্ষায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭৫তম এবং আরএমজি টিসিসির ১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয় ৬ জুন। সেখানে শিল্পকারখানার বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে আলোচনা করেন সংশ্লিষ্টরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সভা শেষে তিনি ঈদুল আজহার ছুটির আগেই শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

Related posts

রূপপুরের মাধ্যমে বদলে যাবে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি

Rubaiya Tasnim

সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন পোশাককর্মীরা ?

Suborna Islam

ফের বেড়েছে সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা

Suborna Islam

Leave a Comment