যত্রতত্র বাস না থামানো এবং নির্দিষ্ট স্থান বা বাস স্টপেজে যাত্রীদের নিরাপদে বাসে ওঠা-নামা নিশ্চিত করতে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে এ প্রকল্প চালু হয়। ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্প চালুর প্রথম দুই সপ্তাহেই এর সুফল মিলেছে। নির্দিষ্ট স্থান বা বাস স্টপেজ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে।
চার সপ্তাহের এ প্রকল্পটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করছে ডিএমপি। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি)।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানায়, পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। যেখানে ৯৩ শতাংশেরও বেশি বাসযাত্রী বলেছেন, বাস ব্যবহার বা বাসে চলাচল তারা নিরাপদ বোধ করেন না।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে দুই সপ্তাহে কিছু উন্নতি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাসগুলো প্রথমদিন থেকেই যাত্রীদের ওঠানামার জন্য বাস স্টপেজে নির্দিষ্ট স্থানে থামছে। যাত্রীরাও যেখানে-সেখানে না দাঁড়িয়ে বাস স্টপেজে অপেক্ষা করছেন। তবে এখনো সব যাত্রী এবং চালকের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়নি। এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের একে অন্যকে সহযোগিতা করার সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে। বাসচালকদের উৎসাহিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সড়কে ‘বাস স্টপ’ লেখা নির্দেশিকা দিয়েছে। মানুষকে সতর্ক করার জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রধান আরও বলেন, যদিও এ পাইলট প্রকল্পটি মাত্র চার সপ্তাহের জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে, তবে আশা করা হচ্ছে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হবে। যাত্রী এবং চালক উভয়েই নিরাপদ সড়ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারবে। একদিন এ ভালো অভ্যাস ঢাকাবাসীর অভ্যাসে পরিণত হবে, এ প্রত্যাশায় ডিএমপি প্রকল্পটি অব্যাহত রাখতে চায়।
এ বিষয়ে ডিএমপি নগরবাসীর মতামত জানতে আগ্রহী। dhaka.road.safety@gmail.com-এ মেইলে মতামত পাঠাতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।