সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলছে ‘বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম-২০২৩’। শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।
২০২২ সালে প্রথমবারের মতো এডুকেশন ফোরাম (রোডশো) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানে দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
আমিরাতভিত্তিক ২৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং ১০ লাখের বেশি বিদেশি ছাত্রছাত্রীকে দেশের ১৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১১৫টি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে আকর্ষণ ও উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষার বিষয়টি তুলে ধরতে দুই দিনব্যাপী এই ফোরামের আয়োজন করা হয়েছে, যা রোববার (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম ২০২৩ এর আয়োজক প্যান এশিয়ান মিডিয়া অ্যান্ড অর্গানাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, অপেক্ষাকৃত কম খরচে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ উদীয়মান দেশ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে। দেশে ১৬৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৫টি মেডিকেল কলেজ আছে, যেখানে ৪৬ লাখ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ১৪ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চশিক্ষা দিচ্ছে।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান থেকে চার বছর মেয়াদি অনার্স (সম্মান) ডিগ্রি পেতে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সেমিস্টার প্রতি সর্বনিম্ন ৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হবে। অর্থাৎ চার বছরের কোর্সে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হবে। আবার ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার ডলারে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করা যাবে, যা বর্তমান আন্তর্জাতিক মানের এমবিবিএস ডিগ্রিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা পরামর্শদাতাদের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং মেডিকেল কলেজগুলোর কাছাকাছি নিয়ে আসার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।
উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভারতে পাড়ি জমানোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। স্বল্প খরচে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কারণে এখন আফ্রিকা, মধ্য-পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বাংলাদেশ।