ইসলাম ধর্ম

যে নাম সবচেয়ে প্রিয় আল্লাহর কাছে

Pickynews24

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,

إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ: عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ
তোমাদের নামসমূহের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। (সহিহ মুসলিম: ৫৭০৯)

এ হাদিস থেকে যে শিক্ষাগুলো আমরা পাই

১. নামের ভালো ও খারাপ প্রভাব মানুষের ওপর পড়ে। তাই নবিজি (সা.) উত্তম অর্থবোধক নাম পছন্দ করতেন, খারাপ অর্থের নাম রাখতে নিষেধ করতেন এবং কারো নামের অর্থ খারাপ হলে ওই নাম বদলে নতুন নাম রেখে দিতেন। মানুষের সর্বোত্তম মর্যাদা হলো আল্লাহর বান্দা হওয়া, তার দাসত্ব ও আনুগত্য করার তাওফিক লাভ করা সবচেয়ে বড় নেয়ামত, তাই যে নাম আল্লাহর দাসত্বের অর্থ প্রকাশ করে তা উত্তম নাম। নবিজি এ হাদিসে বলেছেন সর্বোত্তম নাম হলো আব্দুল্লাহ ও আবদুর রহমান অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা ও রহমান বা দয়াময়ের বান্দা।

২. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দাসত্বের অর্থপ্রকাশক নাম রাখা হারাম- যেমন আব্দুর রাসুল, আব্দুন নবি, আব্দুল আলি, আবদুল হোসাইন ইত্যাদি। খারাপ অর্থবোধক নাম রাখা মাকরুহ। যে সব নাম রাখা হারাম সেগুলো ভুল বা অজ্ঞতাবশত রাখা হয়ে গেলেও পবির্তন করা ওয়াজিব। খারাপ অর্থবোধক বা মাকরুহ নাম পবির্তন করা মুস্তাহাব। আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুল সা. খারাপ অর্থপ্রকাশক নাম পরিবর্তন করে দিতেন। (সুনানে তিরমিজি) আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেছেন, নবিজি (সা.) আসিয়া (অবাধ্য) নামের এক নারীর নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন জামিলা (রূপবতী)। (সহিহ মুসলিম)

৩. নবিজির (সা.) নাম মুহাম্মাদ ও আহমাদ দুটিই অত্যন্ত সুন্দর অর্থপ্রকাশক। তাই এ দুটি নাম রাখা পছন্দনীয় ও উত্তম। কিন্তু এই নামগুলো রাখার কোনো বিশেষ ফজিলত বর্ণিত নেই। মুহাম্মাদ ও আহমাদ নাম রাখার ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিস উল্লেখ করা হয় যেগুলো জাল ও বানোয়াট। বিশুদ্ধ সূত্রে বা দুর্বল সূত্রেও মুহাম্মাদ ও আহমদ নামের বিশেষ কোনো ফজিলত নবিজি (সা.) থেকে বর্ণিত নেই।

Related posts

মানত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে

Asma Akter

আল্লাহর নিয়ামতের শোকর আদায়

Asma Akter

কঠিন শাস্তি রয়েছে তাদের জন্য, যারা নামাজে বাঁধাদান ও জুলুম করে।

Asma Akter

Leave a Comment