প্রথমবারের মতো ১৮৬১ সালের ২৪ অক্টোবর আন্তমহাদেশীয় টেলিগ্রাফ লাইন সম্পন্ন করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। এর ফলে উপকূল থেকে উপকূলে টেলিগ্রাম বা টেলিগ্রাফ বার্তা প্রেরণ সম্ভব হয় (ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মান অনুযায়ী ছিল প্রযুক্তিটি)। সেই সময়ের এই যোগাযোগপ্রযুক্তির উন্নয়নের পথিকৃৎ হলেন টেলিগ্রাফের উদ্ভাবক স্যামুয়েল এফ বি মোর্স। আন্তমহাদেশীয় টেলিগ্রাফ লাইন চালু হওয়ার দুই দিন পর ১৮৬১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে বন্ধ হয়ে যায় ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক বা বার্তা প্রেরণ প্রতিষ্ঠান দ্য পনি এক্সপ্রেসের কার্যক্রম।
সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চল থেকে প্রথম আন্তমহাদেশীয় টেলিগ্রাফ লাইন ক্যালিফোর্নিয়ার ছোট একটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই সংযোগ তার সল্ট লেক সিটি হয়ে ওমাহা, নেব্রাস্কা ও নেভাগার কারসন সিটির মধ্যে যুক্ত ছিল। এইটা তড়িৎ প্রকৌশল এবং যুক্তরাষ্ট্রের গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। বার্তা আদান–প্রদান অবিশ্বাস্য রকমের দ্রুতগতি পায় টেলিগ্রাফ লাইনের কারণে। ১৮৪১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসনের মৃত্যুসংবাদ লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। ভাবা যায়!