তথ্যপ্রযুক্তিসারাদেশ

রেকর্ড গড়ল প্লেস্টেশন সোয়া ২ লাখ স্পাইডারম্যান-২, ২৪ ঘণ্টায় বিক্রি করে

Pickynews24

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার পিএস ৫ কনসোলের জন্য স্পাইডারম্যান-২ বাজারে ছাড়া হয়। বাজারে আসার পরপরই গেমারদের প্রশংসা কুড়ায় এটি। কিন্তু দৈর্ঘ্যের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়। এর মূল গল্প শেষ হতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় নেয়।

২৪ ঘণ্টায় সোয়া ২ লাখের বেশি স্পাইডারম্যান-২ বিক্রি করে রেকর্ড গড়ল প্লেস্টেশন। এর আগে ফিজিকাল ও ডিজিটাল কপি মিলে একদিনে এতো বেশি কোনো গেম বিক্রি হয়নি। নির্মাতা কোম্পানি সনি এক ব্লগপোস্টে এসব তথ্য দিয়েছে।

সাইড কনটেন্টসহ এই গেম প্রায় ৪০ ঘণ্টার। এটি যে কোনো সাধারণ গেমের মতোই। তবে এ বছর বাজারে আসা বালডুরস গেট ৩ গেমটি কয়েকশ ঘণ্টা পর্যন্ত খেলা যায়।

পুয়ের্তো রিকোর সংস্কৃতি তুলে ধরায় গেমটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তবে প্রধান চরিত্রের ঘরে পুয়ের্তো রিকোর পতাকা হিসেবে কিউবার পতাকা ব্যবহার করায় গেমটি সমালোচনারও সম্মুখীন হয়েছে। তবে এই ভুল সংশোধন করা হবে ডেভেলপাররা জানিয়েছে।

গেমটির শিরোনাম স্পাইডার ম্যান ২ হলেও এটি সিরিজের তৃতীয় গেম। ২০১৮ ও ২০২০ সালে এই সিরিজের বাকি দুটি গেম বাজারে আসে।

আগের ভার্সনের মতো গেমটি ভার্চুয়াল নিউইয়র্ক শহরে শুরু হয়। কিন্তু প্রথমবারের মত পিটার পার্কার বা মাইলস মোরালেস চরিত্র নিয়ে গেমাররা খেলতে পারবে।

প্লেস্টেশনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রধান এরিক ল্যামপেল বলেন, আকর্ষণীয় এবং উদ্ভাবনীমূলক খেলার অভিজ্ঞতা দিতে ইনসমনিয়াক গেমস উচ্চমান ধরে রাখার চেষ্টা করে।

এ বছরের জনপ্রিয় বড় গেম
মারিও ও সনিকের নতুন ভার্সনে সঙ্গে এই সপ্তাহে স্পাইডার–ম্যান ২ মুক্তি পায়। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গেমিং দুনিয়ায় প্রতিযোগিতা করছে সুপার মারিও ব্রোস ওয়ান্ডার ও সোনিক সুপারস্টার। একই সপ্তাহে বাজারে আসায় গেমগুলি নিয়ে অনেক আলোচনা শুরু হয়।

গেমিং-এগ্রিগেটর মেটাক্রিটিকে প্লেস্টেশন৫ এর গেমের মধ্যে  স্পাইডার-ম্যান ২ সর্বোচ্চ রেট পেয়েছে।

পিএস৫ এর এই বছরের সবচেয়ে বিক্রি গেম হওয়া স্বত্বেও এখনো লেজেন্ড অব দ্য জেল্ডা: টিয়ার্স অব দ্য কিংডমের সমান উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি স্পাইডার-ম্যান ২। মাত্র তিন দিনে ১০০ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি করেছিল লেজেন্ড অফ দ্য জেল্ডা। নিন্টেন্ডো গত মে মাসে এই গেমটি বাজারে ছাড়ে।

গেমিং সংবাদপ্রদানকারী ওয়েবসাইট গেমসইনডাস্ট্ররি ডট বিজের প্রধান ক্রিস্টোফার ড্রিং বলেন, আজকাল বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ গেম ডিজিটালি ডাউনলোড করা হয়।

২০১৯ সালে মহামারি আঘাত হানার আগে যুক্তরাজ্যের বাজার এপথেই যাচ্ছিল। প্রায় অর্ধেক গেম ডিজিটালি ও অর্ধেক ফিজিক্যাল স্টোরে বিক্রি হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে এই সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি গেম ডাউনলোড হয়েছে।

এখনো প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বক্স গেম বিক্রি হয়। আর কনসোল বা কন্ট্রোলার ডাউনলোড করা যায় না। কিন্তু এর বাজার এখন অনেক ছোট।

Related posts

যেভাবে ভুয়া রিভিউ সরাচ্ছে আমাজন এআই ব্যবহার করে

Rubaiya Tasnim

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

Samar Khan

ইউরোপের স্মার্টফোন বাজার আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে

Rubaiya Tasnim

Leave a Comment