লিওনেল মেসির জীবনে এমন পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্ত এসেছে বারবার। বিশেষ করে ব্যালন ডি’অর জেতা তো একরকম নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন। গতকাল জিতলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর। পুরস্কারটি এমন এক দিনে পেয়েছেন, যে দিনটা এমনিতেও স্মরণীয়।
১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে ম্যারাডোনার চলে যাওয়া পেরোতে চলল তিন বছর। তবে ‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ বলেও একটা প্রবাদ যে আছে। তাঁর নেতৃত্বেই আর্জেন্টিনা জিতেছিল ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনার ৬৩তম জন্মবার্ষিকীর দিনেই অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি, যেখানে ৩৬ বছর পর ২০২২ বিশ্বকাপে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপখরা ঘুচেছে। কাতার বিশ্বকাপে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার স্মরণ করেছেন ম্যারাডোনাকে।
অষ্টম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার মেসি উৎসর্গ করেছেন ম্যারাডোনাকে। ব্যালন ডি’অর জয়ের পর মেসি বলেন, ‘আজ আমি ডিয়েগোর (ম্যারাডোনা) নাম উল্লেখ করতে চাই। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মতো এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর হয় না। ফুটবল-পাগল অনেক মানুষ তাঁকে ভালোবাসে, এমনটা তিনি চেয়েছিলেন। ডিয়েগো আপনি যেখানেই থাকুন, শুভ জন্মদিন। এই পুরস্কার আপনার জন্য।’
২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে একের পর এক পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন মেসি। কাতার বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল, অ্যাসিস্ট করেছেন ৩ গোলে। লুসাইলে গত পরশু ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল। জিতেছেন ২০২২ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলের পুরস্কার। তাতে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দুই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বলের পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে এক বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনালে গোল করার রেকর্ড গড়লেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এরপর বিবিসির ২০২২-এর বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ২০২৩-এর লরিয়াসের বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন। আর গত রাতে সর্বশেষ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ব্যালন ডি’অর।