ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের বাজারে পেঁয়াজ ও আলু কম দামে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, দেশে এ দুটি কৃষি পণ্যের উৎপাদন শুরু হলেই দাম কমে আসবে।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আমদানি ও বাজার মনিটরিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘আলু ও ডিম আমদানি করতে হলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা সেই অনুমতি নিয়ে দুমাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
‘পেছনের সমর্থন না পেলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেন। কিন্তু ততক্ষণে আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সরবরাহ ভালো থাকলে সমস্যা হয় না। আবার আলু অতিরিক্ত থেকে গেলে তখন প্রশ্ন করা হয়- কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছেন না, আপনি কী ব্যবস্থা করেছেন? দুভাবেই সমস্যা।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেই প্রচারটা করেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটা হলো আমাদের দেশের উৎপাদন, আরেকটি আমদানি করে আনা হয়। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এটা আমরা সবাই বুঝি যে যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবে।
‘হয়ত আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজটা বাজারে উঠবে, তখন হয়তো পেঁয়াজের দাম কমবে। আবার আলু যেমন ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজারে উঠতে শুরু করবে, তখন দাম কমবে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারতের বাজারে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের কেজি ৮০ রুপি, যা আমাদের টাকায় ১০৫ বা ১১০ টাকা। পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত ৮০০ ডলার। ওই টাকায় আমরা আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ কিংবা ১২৫ টাকা পড়ে যাবে। এজন্য আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।
‘একইভাবে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে যে পরিমাণ আলু আছে, তা প্রয়োজন অনুসারে ভীষণ টাইট অবস্থা। ডিসেম্বরের শেষের দিকে আলু উঠতে শুরু করবে। তখন দাম কিছুটা কমবে। আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে সেটার প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমদানিটা ভালোভাবে এলে দাম কিছুটা সাশ্রয় হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। ইতোমধ্যে প্রথম চালান এসেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দামের ওপর মূল্যস্ফীতি বড় প্রভাব বিস্তার করে। যখন মূল্যস্ফীতি থাকে তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এখন সাড়ে ৯ শতাংশের উপরে মূল্যস্ফীতি। সেটার সমাধান করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা অন্য কেউ খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’